প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪২
চাঁদপুরে বিএনপির মানববন্ধন সমাবেশে ব্যরিষ্টার রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহান বলেছেন, এবার কোন ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। ভোট চুরির দিন শেষ।
|আরো খবর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেই নির্বাচনে বিএনপি দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। তাই দ্রুত সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডে জেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।ব্যরিষ্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বিএনপির আন্দোলনে সরকার ভীত। তাই আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে শান্তি সমাবেশের নামে দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সরকার যতই তালবাহানা করুক না কেন, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না।নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে।
তিনি বলেন, ১৪ বছর অসহ্য সময় পার করেছি। আর না। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় সরকারবিরোধী জোয়ার উঠেছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। ইভিএম মানি না। সারা দুনিয়ায় যখন ব্যালটে ভোট, শেখ হাসিনা কেন ইভিএমে ভোট চান বুঝি না।এ সরকার ইতোমধ্যে নিজেদের স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে। এরা লুটপাটের মাধ্যমে দেশটাকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন,বিএনপির ১০ দফা আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। জনগণের গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ১৪ বছরে দেশটারে লুট করছেন। যা যা করছেন তার হিসাব নেব। এই যে এত মানুষ সমাবেশে এসেছে, তারা ভালোবেসে এসেছে। বন্দুকের ভয় তারা পায় না। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, র্যাব আমাদের ভাইদের গুলি করছে। তাদের আমেরিকা নিষিদ্ধ করছে। আপনারা এমন কিছু কইরেন না আপনাদের উপরে সেনশন আসে।
চাঁদপুর জেলা বিএনপি'র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সেলিম উল্লাহ সেলিমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য আলহাজ্ব এম এ হান্নান।
এর সময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচি সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত হবার কথা থাকলেও জনস্বার্থে তারা প্রোগ্রামটি বিকেল বেলায় করে।চাঁদপুর জেলা বিএনপি এটি মানববন্ধন কর্মসূচী হলেও তা বড় ধরনের সমাবেশে পরিণত হয়।এদিন দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ দলে দলে এবং মিছিল করে মানববন্ধন স্থলে উপস্থিত হয়। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে মোতায়েন ছিলো অতিরিক্ত পুলিশ ।
সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন,বিএনপি সংঘাত চায় না, বিএনপি জনগণের দল। আজকে রাস্তায় জনতার ঢল নেমেছে এটাই তার প্রমান।
যারা শান্তি সমাবেশের নামে চাঁদপুর জেলাকে অশান্তি করছে একদিন তাদের জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের পাবার কিছু নেই। আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন। জনগণের সেবক হিসেবে আপনাদের যে দায়িত্ব তা পালন করুন।এতদিন চাঁদপুরে যে শান্তি বিরাজ করছিল তার ব্যতয় হলে আপনাদেরকেও একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
উল্লেখ্য,বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনে সারা দেশে জেলা পর্যায়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি আহবান করে বিএনপি ।