প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৩, ১৬:৩৪
বিএনপি যখন কর্মসূচি দেয় তখন জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, বিএনপি যখন কর্মসূচি দেয় তখন জনমনে আতঙ্ক দেখা দেয়। জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের দায়বদ্ধতা রয়েছে। জনগণের বিপদে-আপদে সুখে-দুখে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ পাশে দাঁড়ায়, এটা আওয়ামীলীগের ঐতিহ্য। দুর্দিনে দুর্বিপাকে মানুষের পাশে থাকে। সে কারণে আমরা প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করি, আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করিনা। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সহিংসতায় বিশ্বাস করিনা। এ কারণে আজকে আমাদের এই শান্তি সমাবেশ। বিগত দিনের অভিজ্ঞতা বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতার তান্ডব জনগণ ভুলে নাই।আওয়ামী লীগ সরকারে আছে, রাজনীতির মাঠেও রয়েছে। জনগণের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কোনো অপচেষ্টা এই দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।
|আরো খবর
তিনি গতকাল ১১ই মার্চ শনিবার সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পদযাত্রার নামে সারাদেশে বিএনপি-জামাত ও তাদের মিত্রদের অগ্নিসন্ত্রাস,নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে এই শান্তি সমাবেশ করে তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ অসুস্থ থাকায় এদিন জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিক কেন্দ্রীয় কর্মসূচির এই শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোঃ শাহআলম,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ,
অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ,আবু সায়েদ সরকার,বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান,কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া,জেলা যুবলীগের আহবায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়াজী পরিচালনায় মানব প্রাচীর এ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তোষ দাস যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, তাঁতীলীগ শ্রমিকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকাল থেকে নেতা-কর্মীবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় এবং শান্তি সমাবেশের জন্য রাস্তার দু'পাশে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নেন।