প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ১৯:৫৬
বহরিয়া ও লক্ষ্মীপুর থেকে বস্তা করা ইটের টুকরা ও কাঁচের বোতল উদ্ধার
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বহরিয়া ও লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকা এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।পুণরায় মারামারি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
|আরো খবর
এদিকে, ১৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বহরিয়া থেকে মারামারিতে ব্যবহার করার জন্য এক পক্ষের মজুত করে রাখা ৬/৭ বস্তা ইটের টুকরা এবং কাঁচের বোতল উদ্ধার করেছে পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সামছুল আলম। চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মাদ আব্দুর রশিদ জানান, শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ না করায় মামলা হয়নি। থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ উপস্থিত থাকায় সেখানকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
এলাকা সূত্রে জানা যায়,লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে সেখানে। শুক্রবার বিকালে বহরিয়া বাজারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সামনের সম্মেলন উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একটি প্রস্তুতি সভা আহবান করে। দলীয় নেতাকর্মীরা বহরিয়া বাজার রাস্তার পাশে খোকন রাঢ়ির দোকানের সামনে জড়ো হয়। এক পর্যায় মিছিল ও শ্লোগান দেয়া নিয়ে সেলিম চেয়ারম্যানের সমর্থক আ'লীগ- যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নান্নু হাজী,সফিক গাজীর নেতৃত্বাধীন স্থানীয় আওয়ামীলীগের অপর গ্রুপের মধ্য উত্তেজনা,ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংষর্ষ বেঁধে যায়। বহরিয়া বাজার রাস্তার ওপর থেকে এ সংঘর্ষ বড় বাড়ি তিন রাস্তার মোড় এবং আশপাশের গ্রামীণ রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।এসময় মারামারিতে লিপ্তদের হাতে ছিল টেঁটা,লোহার রড, দা, ছেনি, রামদা চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। প্রায় ঘন্টা খানিক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও এ সংঘর্ষ চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।এ সময় পুরান বাজার - বহরিয়া- হরিনা চান্দ্রা হাইমচর সড়কের যানবাহন চলাচল ব্যহত হয় এবং যাত্রী সাধারণ,পথচারী এবং গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।