মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ২০:২৬

মতলবে পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর

অর্থ ও স্বর্ণালকার লুটের অভিযোগ

রেদওয়ান আহমেদ জাকির
মতলবে পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় বাড়িতে  হামলা ও ভাংচুর

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘোড়াধারী মুন্সী বাড়ীতে জামালের স্ত্রী রীমাকে পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় বাপের বাড়ীর লোকজন নিয়ে স্বামীর বাড়ীতে হামলার অভিযোগ ওঠেছে।২৭ আগস্ট বেলা ২টায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় ছেলের পিতা মহন একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

জামালের মাতা শাহানারা বেগম জানান, আমার ছেলে জামাল দেশের বাহিরে থাকে। আমার এই ছেলের বউ রীমা আক্তার আমাদের বাড়ীতে থাকাবস্থায় বেশ কয়েকজন ছেলের সাথে পরকিয়া এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে টিকটক করতো। আমরা পারিবারিকভাবে তাকে বাধা দিলে সে কারো কথা শুনতো না। উপরন্তু, আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা ও গালিগালাজ করতো। এর প্রেক্ষিতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকমাস পূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন করেছি বলে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার কারণে গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বাড়ীতে আমার ছোট ছেলের স্ত্রী ইকরাকে রেখে চাঁদপুর চলে যাই। পরে আমার বাড়ীতে এসে দেখি আমার ছোট ছেলের স্ত্রী ইকরা ইসলামকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে রেখেছে। আমরা তাকে উদ্ধার করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

আহত ইকরা ইসলাম জানান, রিমা আক্তার আমার ঝা হয়। সে তার বাপের বাড়ীর লোকজন নিয়ে হঠাৎ করে আমার স্বামীর পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র নিতে চায়। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে ও তার সম্পর্কে খালু সবুজ ওরফে সুরুজ, তার মা বিউটি, সাথী, ইমনসহ বোরকা পরিহিত দুইজন মহিলা আমাকে মারধর করে আমার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। আমার কানে ও গলায় থাকা চেইন ও জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্ট্রীলের আলমিরা ভেঙ্গে সেখান থেকে নগদ প্রায় দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার স্বামী ও শ্বশুর-শ্বাশুরী আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সরজমিনে এলাকায় গেলে প্রতিবেশী মনি বেগম জানান, আমরা তাদের ডাক চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি ইকরার হাত, পা বাধা অবস্থায় আছে। সেগুলো আমরা খুলে দেই। আমরা এর বেশী কিছু জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়