প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : ড্রেজারসহ আটক ২
আবারো মেঘনা ও পদ্মা নদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে চাঁদপুরের বালু খেকো সিন্ডিকেট। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী পাহারায় রেখে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী শেষ সীমানায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। অবশেষে চাঁদপুরের নৌ এসপি কামরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশের বিশেষ টিম নদীতে অভিযান চালিয়ে বালু কাটার সময় ড্রেজার মেশিনসহ ২ জন শ্রমিককে আটক করে। ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জনাব কামরুজ্জামান।
নৌ পুলিশ ড্রেজার জব্দ করে নিয়ে আসার সময় তাদের উপর বালু খেকোরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে বলে জানা যায়। তবে চরভৈরবী নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে আটককৃত শ্রমিকদের নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনায় বালু উত্তোলনের সরকারি কোনো অনুমতি বা বালু মহাল ইজারা নেই। কিন্তু বালু খেকো চক্র বসে নেই। তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নদীতে বালু কাটছে। নৌ পুলিশ বেশ ক’বার নদীতে অভিযান চালিয়ে সেই অবৈধ ড্রেজারসহ বাল্কহেড জব্দ করার পর কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল। তারপর আবারও হাইমচর উপজেলার শেষ সীমানায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন করে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এই অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।
নীলকমল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহাঙ্গীর খানের কাছে অভিযানের তথ্য জানতে চাইলে তিনি সঠিক তথ্য না দিয়ে টালবাহানা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে নদীতে বালু উত্তোলনকারীরা নৌ পুলিশের এ সকল অসাধু কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে বালু উত্তোলন করছে।
নৌ পুলিশ এসপি কামরুজ্জামান জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় ১টি বাল্ক হেডসহ ২জন শ্রমিক আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।