শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:০৯

হাইমচরে মৎস্য ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে দুম্র্রজাল

হাইমচরে মৎস্য ব্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে দুম্র্রজাল
হাইমচর ব্যুরো

হাইমচরে বাচ্চু মোল্লা নামক একজন মৎস্য ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে নদীতে ইলিশ সংরক্ষণ কর্মসুচীর নিয়মিত অভিযানে নামে উপজেলা মৎস্য কর্সমকর্রতা, পুলিশ ও কোষ্টগার্ড । এ সময় হাইমচর বাজার মাছঘাটে ৫০০ কেজি জাটকা মাছ আটক করে। এসময় অভিযানকারীদের সাথে কারো কোন প্রকার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

কিন্তু পরে জানা যায়, অভিযানের সংবাদ শুনে জাটকা ক্রেতা-বিক্রেতাগন দৌড়ে পালানোর সময় বাচ্চু মোল্লা কিছুর সাথে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হন । তাৎক্ষনিক তাকে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসকের পরামশ্যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর ২৫০ সজ্বা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় । চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামশ্যে তাকে উন্মনত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধায় তার মৃত্য হয়।

তার মৃত্যর সংবাদের পর একটি মহল মৎস্য কর্মকর্তার লাঠির আঘাতে তার মৃত্য হয় বলে প্রচার করতে থাকে। তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কতৃপক্ষের দেয়া মৃত্যু সনদে বাচ্চু মোল্লা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতুবরন করেন উল্লেখ রয়েছে।

হাইমচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান বলেন, আমরা এবং কোস্ট সহ প্রশাসনিক কর্মকতারা অভিযান চলা কালে ট্রলার থেকে নামার সাথে সাথেই ভয়ে জাটকা ক্রয় এবং বিক্রেতারা ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে আমাকে মৎস্য অফিসার বললেন যে জাটকা মাছের একটি গোডাউন পাওয়া গেছে। তারপর আমি এবং উনি একসাথে কয়েকটি ঘরে অভিযান চালাই এবং কয়েক শত কেজি জাটকা জব্দ করি। পরে ২০ মিটার দূরত্বে দেখতে পাই কয়েকজন মহিলা একজন পুরুষকে নিয়ে একটি বাড়ির উঠানে বসে রয়েছে। পরে ঐ বাড়ি থেকে বেরহয়ে আসা একটি ১৮ বছর বয়সী বালক কে জিজ্ঞেস করি যে ঐ লোকটির কি হয়েছে? বালকটি বলে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েছে । আমি ওই বলিকটিকে বলি দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মৎস্য অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ঐদিন আমরা থাকালীন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে নি। আমার হাতে কোন লাঠি ছিলনা। আমার সাথে হাইমচর থানার এসআই মোঃ আঃ মান্নান ও কোষ্টগাড ছিল। তারা কাউকে আঘাত করতে দেখিনি । চলতি কম্বিং অপারেশন ও আসন্ন মার্চ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতে এবং সরকারী কাজকে বিতর্কিত করতে একটি মহল পরিক্লপিতভাবে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়