প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চুন্নু। তিনি ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে হাজীগঞ্জের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে এক শূন্যস্থান তৈরি হয়। দীর্ঘদিনের সভাপতিকে হারিয়ে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ কিছুটা নেতৃত্ব শূন্যতা অনুভব করে। তবে সে শূন্যতা পূরণে বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে একাধিক যোগ্য ব্যক্তির মাঝে সবার পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে সংগঠনটির দীর্ঘদিনের সহ-সভাপতি সাবিহা সুলতানার নাম। প্রথমে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরবর্তী কাউন্সিলে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। সেই সাথে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ পেলো প্রথম নারী সভাপতি। সাবিহা সুলতানা প্রায় দুবছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সভাপতি হওয়ার পূর্বেও তিনি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
সাবিহা সুলতানা কিশোরী বয়সে থেকেই লেখালেখিতে ঝুঁকে পড়েন। নবম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় তিনি প্রথম ‘খুকুমনির ইচ্ছা’ নামের একটি ছড়া রচনা করেন। সে থেকেই ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লিখে আসছেন। তাঁর একাধিক লেখা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
সাবিহা সুলতানা হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ ছাড়াও একাধিক সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষিকা। তিনি কর্মজীবন ২০১৭ সালে সফলতার সাথে সমাপ্ত করেন। অবসর গ্রহণ করেই সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনসহ একাধিক সামাজিক কাজে নিজেকে জড়ান পুরোদমে।
তিনি মা হিসেবেও সফল। তার ২ ছেলে, ২ মেয়ে সবাই উচ্চ শিক্ষিত।
বড় ছেলে পড়াশোনা শেষ করে আমেরিকাতে বসবাস করেন। ছোট ছেলে পড়াশোনা করেন লন্ডনে। তিনি একাধিকবার আমেরিকাতে গিয়েও ফিরে আসেন দেশের ও সামাজিক দায়বদ্ধতার টানে।
সাবিহা সুলতানা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমাদের কিশোরী বয়সে সাহিত্য ও সাংস্কৃতির প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। সে তুলনায় বর্তমান কিশোর-কিশোরীদের মাঝে সে আগ্রহটা তেমন দেখা যায় না। হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ সাহিত্যমনা ব্যক্তিদের নিয়ে এগিয়ে যাবে।