বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

স্বামীর অনুপ্রেরণায় সাংবাদিকতায় এসেছেন ইসমত বাহার
নারীকণ্ঠ প্রতিবেদন ॥

চাঁদপুর জেলা অনেক কিছুতে এগিয়ে থাকলেও এখানে সাংবাদিকতায় নারীরা আছেন অনেক অনেক পিছিয়ে। সারা জেলায় নারী সাংবাদিক খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তারপরও একজনকে খুঁজে পাওয়া যায় জেলার প্রত্যন্ত এলাকা মতলব উত্তরে। তিনি হচ্ছেন ইসমত বাহার। স্বামীর প্রেরণায় সাংবাদিকতায় তিনি টিকে আছেন প্রায় দুদশক ধরে।

ইসমত বাহার কুমিল্লার মেয়ে। তিনি ১৯৮০ সালে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মোড্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আরিফুর রহমান ও মাতা ফেরদৌসী রহমান। ১৯৯৯ সালে মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আলম লাভলুর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ১ মেয়ে ও ১ ছেলের জননী।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য এবং মতলব উত্তর প্রেসক্লাব ও মতলব উত্তর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।

ইসমত বাহার (লাভনী)কে ‘সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী’ ক্যাটাগরীতে ২০১৩ সালে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় ।

তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি ও নবধারানিউজ ২৪ ডটকমের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় কাজ করেছেন। তাকে নারীকণ্ঠের মুখোমুখি করা হলে তিনি যা বলেন, সেটি নিচে তুলে ধরা হলো :

নারীকণ্ঠ : কার অনুপ্রেরণায় আপনি সাংবাদিকতায় এসেছেন এবং এখনও টিকে আছেন?

ইসমত বাহার : স্বামী মাহবুব আলম লাভলুর অনুপ্রেরণায় ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সুযোগ পাওয়ায় সাংবাদিকতায় আসা। স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সহযোগিতা থাকায় এবং দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাই বিভিন্ন পর্যায়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেওয়ায়, উৎসাহিত করায় আমার সাংবাদিকতা চলমান।

নারীকণ্ঠ : মফস্বলে সাংবাদিকতায় নারীদের জন্যে প্রতিবন্ধকতা কী কী বলে আপনি মনে করেন?

ইসমাত বাহার : এদেশে নারীরা সাংবাদিকতায় আসা শুরু করেন পঞ্চাশের দশকে। তখনকার সময়ের নামকরা নারী সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন লায়লা সামাদ, রাজিয়া খান আমিন, ফয়েজা হক, মাফরুহা চৌধুরী ও নাসিমুন আরা হক। সাত দশকেও সংবাদমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ লক্ষ্যণীয়ভাবে বাড়েনি। জাতীয় পর্যায়ে নারী সাংবাদিক বাড়লেও এখনও মফস্বলে নারী সাংবাদিক বাড়েনি।

সাংবাদিকতা পেশায় নারীর অপ্রতুল অংশগ্রহণের পেছনে নারীবান্ধব কর্মক্ষেত্রের অভাব, পরিবারের চাপ, মাতৃত্ব ও সন্তান লালনপালন, বেতন-ভাতা ও কর্মে লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন হয়রানির মতো বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে হয়। তাই মফস্বল সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ কঠিন।

নারীকণ্ঠ : ব্যক্তিগত জীবনে সাংবাদিকতার ভালো অভিজ্ঞতা কী, আর খারাপ অভিজ্ঞতা কী?

ইসমত বাহার : সাংবাদিকতার এই যে আনন্দণ্ডপ্রাপ্তি তা আর কোন্ পেশা দিতে পারবে? এই নেশার কারণেই আসলে আমার স্বামী মাহবুব আলম লাভলুর সাংবাদিকতা করা। গত দুদশকে আমি অনেকবার তাকে দেখেছি অবেগে-কষ্টে। আবার আনন্দেও। এই যে মানুষ নিয়ে কারবার, মানুষের দুখণ্ডকষ্ট নিয়ে কারবার, জীবন নিয়ে কারবার, তা আমি আর কোথায় গিয়ে পাবো? আমি জানি পৃথিবীর আর কোনো পেশাই আমাকে তা দিতে পারবে না। আর তাই আমি সবসময় সাংবাদিকই থাকতে চাই।

সাংবাদিক হওয়ার কারণে স্বামীর প্রতি মানুষের সম্মান দেখে সাংবাদিকতায় আসা ও স্বামীর এই নেশার প্রতি সাপোর্ট ছিল। এখন যখন দেখি, কিছু ব্যক্তিবিশেষ সাংবাদিকের জন্যে সাংবাদিকদের নিয়ে মানুষ খারাপ মন্তব্য করে, তখন খুব খারাপ লাগে।

নারীকণ্ঠ : আপনি একজন ভালো রাঁধুনি বলে সুনাম আছে। কার কাছ থেকে শিখেছেন এতো ভালো রান্না?

ইসমত বাহার : প্রশংসা শুনতে কার না ভালো লাগে। আমারও ভালো লাগছে। রান্নার কোনো কোর্স করিনি। মায়ের কাছে প্রথম শেখা। মূল হাতেখড়ি শাশুড়ি-মায়ের কাছে। এখনও আমার শাশুড়ি-মায়ের রান্নার স্বাদ অতুলনীয়। নিজ আগ্রহেই ঘরের সবাইকে ও অতিথিদের রান্না করে খাওয়ানোর মাধ্যমে রান্নার অভিজ্ঞতা অর্জন করা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়