প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশ জাতীয় বাস্কেটবল দলের সদস্য হয়ে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে চান সম্ভাবনাময় মেধাবীমুখ মোঃ পলক পাটোয়ারী। বর্তমানে তিনি বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি পড়াশোনা করছেন।
মোঃ রফিকুল ইসলাম দুলাল পাটোয়ারী ও শাহানাজ বেগম দম্পতির সন্তান পলক ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। জীবনের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি লেখাপড়া ও খেলাধুলায় বেশ মনোযোগী।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।
মোঃ পলক পাটোয়ারী : আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আমাদের গ্রামে একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব ছিলো। আমাদের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে আমাদের গ্রামের শিক্ষার্থীরা নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। নিজেদের এখন আর শহরের চেয়ে পিছিয়ে থাকা মনে হয় না। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চাসহ শিক্ষার প্রায় সবকিছুই এখানে রয়েছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : কোন্ কোন্ খেলাধুলায় আপনি অংশগ্রহণ করেন?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ভলিবল এবং অ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াচর্চার জন্যে কে কে আপনাকে অনুপ্রাণিত করে?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : আমাদের একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী (বীর প্রতীক) স্যার শুরু থেকেই খেলার নানা উপকরণ ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে খেলার প্রতি অনুপ্রেরণা জোগান। পাশাপাশি একাডেমির শিক্ষক খান এমএ জাহিদ, মোঃ আবু সালেহ এবং আলীমুজ্জামান প্লাবণ প্রশিক্ষণ ও নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রেরণা দেন। এছাড়াও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী ও একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ মহসিন পাটোয়ারী আমাকে অনুপ্রেরণা দেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় খেলোয়াড় কারা?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : বাস্কেটবলে আমার প্রিয় খেলোয়াড় অ্যালেন আইভারসন ও কোবি ব্রায়েন্ট, ভলিবলে ব্রাজিলের ব্রুনো ওয়ালেস।
চাঁদপুর কণ্ঠ : অভিভাবকরা আপনার ক্রীড়া চর্চাকে কীভাবে দেখেন?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : অভিভাবকরা আমার ক্রীড়া চর্চাকে সুনজরেই দেখেন। তারা আমাকে সবসময়ই উৎসাহ প্রদান করেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াচর্চার ক্ষেত্রে বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কী কী সহযোগিতা পান?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : ক্রীড়ার ক্ষেত্রে আমরা একাডেমির পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতাই পেয়ে থাকি। ক্রীড়াচর্চার প্রায় সব উপকরণই একাডেমি থেকে প্রদান করা হয়। জাতীয় শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলার বাইরেও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় আমাদেরকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য কী?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : আমার ভবিষ্যত লক্ষ্য আমি বাংলাদেশ জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করতে চাই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আর কী কী সুবিধা পেলে ক্রীড়াক্ষেত্রে আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবেন?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : সাধারণত দেখা যায় অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক অর্থাৎ দীর্ঘ সময় পরপর প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা যদি দীর্ঘসময় পরপর আয়োজন না করে প্রতি মাসে একটি করে করা যায় তাহলে সাফল্য অর্জনের পথ আরো সুগম হবে। তাছাড়া বাস্কেটবলের বোর্ডটি ফাইবারের করা হলে আরা আরো সাফল্য পাবো ইনশাআল্লাহ।
চাঁদপুর কণ্ঠ : ক্রীড়াক্ষেত্রে আপনার অর্জনগুলো বলুন?
মোঃ পলক পাটোয়ারী : আমি স্কুল পর্যায়ের উপজেলা, জেলা, উপ-অঞ্চল ও জেলার হয়ে বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবলে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলেছি। ২০১৯ সালের জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাস্কেটবলে জেলা পর্যায়ে রানারআপ।
২০২০ সালের ৪৯তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাস্কেটবলে কুমিল্লা উপ-অঞ্চলে রানারআপ। ২০২২ সালের ৫০তম জাতীয় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাস্কেটবলে কুমিল্লা উপ-অঞ্চলে রানারআপ ও ভলিবলে জেলা পর্যায়ে রানারআপ। তাছাড়া মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে খেলেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছি। বঙ্গবন্ধু ২য় বিভাগ বাস্কেটবল টুর্নামেন্টে বেঙ্গল ফাইটারস্ ক্লাবের হয়ে অংশগ্রহণ করেছি।