শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২২, ০০:০০

মুক্তি
অনলাইন ডেস্ক

মায়ের একমাত্র আদরের ছোট্ট সন্তান রোমান। বয়স পাঁচ বছর। রোমান পাখি ধরতে খুব পছন্দ করে। সে সারাদিন পাখি কীভাবে ধরবে সেই সকল ফাঁদ বা যন্ত্র বানাতো। কখনো বাটালি দিয়ে আবার কখনো সুতা দিয়ে মাটিতে ফাঁদ পাততো। পাখি ধরে সব বাচ্চাকে নিয়ে ছোটো পাতিলে ভাত ও পাখির মাংস রান্না করে খেতো। তার মা এসব পছন্দ করতো না। তিনি তার ছেলেকে সবসময় বুঝাতো যেনো পাখি না ধরে। কিন্তু রোমান তার মায়ের এ সকল কথা শুনতো না। মা যখন রোমানকে পাখি মারতে নিষেধ করে তখন সে চুপ করে থাকে আর মায়ের সব কথা মাথা নিচু করে শোনে। আর মায়ের আড়ালে ঠিকই পাখি ধরে এবং জংলায় খাঁচার মধ্যে লুকিয়ে রাখে। মা ঠিকই বুঝতে পারছিলো যে রোমান এখন পাখি ধরে বাড়িতে আনে না কিন্তু জংলায় কোথাও লুকিয়ে রাখে, কারণ সে বাড়ি থেকে কিছুক্ষণ পরপর জংলার দিকে গিয়ে আড্ডা দেয় তার সমবয়সীদের নিয়ে।

মা এটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলেন। কারণ বারবার জংলার ভেতরে যাওয়া-আসা করছে তার ছেলে হঠাৎ কখনো যদি সাপে কামড় দেয়, তখন কী হবে? মা মনে মনে ভাবলো, যেভাবেই হোক পাখি ধরা থেকে তার ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই ভেবে তিনি একদিন খুব সকালে ঘুমের মধ্যে তার ছেলেকে রেখে পাশের একটি বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে থাকে। ছেলের ঘুম ভাঙার পর যখন মাকে পাশে না পায় তখন সে খুঁজতে শুরু করে। বাড়ির চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে যখন কোথাও না পায় তখন তার মাকে ডাকতে শুরু করে। কয়েকটি ডাক দেয়ার পর যখন তার মা কোনো সাড়া না দেয় তখন সে আরো জোরে জোরে ডাকতে শুরু করে। জোরে ডাকার পরও যখন মায়ের কোনো সাড়া পেলো না তখন সে কান্না শুরু করে দিলো।

কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে ডাকছিলো তারপরও যখন তার মা আসেনি তখন সে মাটিতে শুয়ে চিৎকার শুরু করলো। মা শুধু এটি করছিলো তার ছেলেকে সঠিক পথে আনার জন্যে। ছেলে যখন মাটিতে শুয়ে চিৎকার করছিলো খুব জোরে জোরে মায়ের মন তখন আর মানছিলো না। মা তখন বুঝতে পারলো যে এবার হয়তো তার ছেলেকে বুঝালে তার ছেলে বুঝবে। মা তখন দৌড়ে গিয়ে তার ছেলেকে মাটি থেকে কোলে তুলে নিলো।

-কোথায় গিয়েছিলে তুমি? তোমাকে না পেয়ে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল! কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল।

-আমাকে না পেয়ে তোমার এত কষ্ট হচ্ছিল, তুমি যখন পাখিগুলোকে ধরে আনো তখন ঐ পাখির বাচ্চাদেরও তো ঠিক তেমনি কষ্ট হয়, তাহলে তুমি পাখি ধরো কেন?

-পাখির বাচ্চাদেরও কি এমন কষ্ট হয় মা?

-হ্যাঁ, পাখির বাচ্চাদেরও ঠিক তেমন কষ্ট হয়।

-আমি আর কখনো পাখি ধরবো না মা, তুমি আমাকে কখনো একা ছেড়ে যাবে নাতো?

-না বাবা, তুমি আর কখনো পাখি ধরো না, আমি তোমাকে আর কখনো একা ফেলে যাবো না।

-আচ্ছা মা জংলায় একটা পাখি ধরে আটকে রেখেছি খাঁচার মধ্যে, ওটা ছেড়ে দিয়ে আসি?

-আচ্ছা বাবা যাও গিয়ে ছেড়ে দিয়ে এসো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়