হাইমচরে মনোমুগ্ধকর চিত্রাংকনে অবাক আদর্শ শিশু নিকেতনের ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকরা

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলাধীন আদর্শ শিশু নিকেতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সদর আলগী বাজারের কাটাখালী রোডে অবস্থিত। আদর্শ শিশু নিকেতন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাইমচরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারী।

আদর্শ শিশু নিকেতন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮সাল থেকে আজ পর্যন্ত শুনাম ও গৌরবের সাথে পরিচালনা করে আসছেন। দীর্ঘ দেড় বছর বাংলাদেশের করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে সরকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর সরকার পুনরায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেন। ছাত্র-ছাত্রীরা দীর্ঘ দেড় বছর পরে স্কুলে ফিরবে এমন সংবাদ পাওয়ার পর আদর্শ শিশু নিকেতন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক জনাব মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটওয়ারী প্রতিষ্ঠানটিকে এক ব্যতিক্রম সাজে সাজানোর পরিকল্পনা নেন। তিনি আদর্শ শিশু নিকেতন-এর মেইন গেটের বাহিরে এবং ভিতরের দেওয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্র অংকন করান। যেই চিত্র অংকন খুব সহজেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকদের মন কেড়ে নেয়।

আদর্শ শিশু নিকেতন-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের সাথে এই মনোমুগ্ধকর চিত্র অংকন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার করোনার কারনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর প্রায় দেড় বছর ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারে না। দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই পরিবেশ বিনস্ট হয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের স্কুলে পড়াশোনা প্রতি সহজে মন বসাতেই আমি এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি দেওয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্র অংকন করেছি। তাছাড়াও তিনি বলেন, আমার এ প্রতিষ্ঠানের ২৫ বছর রজতজয়ন্তী বর্ষ চলছে।

আদর্শ শিশু নিকেতন-এর প্রতিটি দেওয়ালে মনোমুগ্ধকর চিত্র অংকনগুলো ছিল জাতীয় পতাকা হাতে শিক্ষার্থীরা ছোটে চলছে, ছাত্রছাত্রীরা গ্রামের মেঠোপথে স্কুলে যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মাঠে ফুটবল খেলার চিত্র, শিক্ষিকা বাচ্চাদের ক্লাস নিচ্ছে,চিত্র অংকনে আরো ফুটে উঠেছে রং-বেরঙের ফুল,ফল, পশুপাখি, নদ-নদী, খালবিলসহ বাংলা, ইংরেজি, অংকের অক্ষর (অ,আ,ক,খ,১,২,A,B,C) সমূহ।

আদর্শ শিশু নিকেতন-এর কয়েকজন অভিভাবকের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, মাজহারুল ইসলাম শফিক স্যার অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার সাফল্য আজকের এই আদর্শ শিশু নিকেতন। প্রতিষ্ঠানের চিত্র অংকনে আমাদের বাচ্চারা এবং আমরা খুবই আনন্দিত। ভালো মনের অধিকারী না হলে এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব নয়। স্কুল বন্ধের সময় স্যার সব সময় বাচ্চাদের খুজ খবর রাখতেন।