প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২২, ১৮:৫২
হাজীগঞ্জে আটক মাদক কারবারীর পাকস্থলিতে ইয়াবা : গ্রেফতার ৪
পাকস্থলীতে করে ইয়াবা পাচারকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪ মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদের নির্দেশনায় এ সময় এদের কাছ থেকে মোট ২ হাজার ২শ’ ৫০ পিস জব্দ করা হয়।
|আরো খবর
একই অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। রোববার দিনগত রাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভিন্ন দুটি অভিযানে টেকনাফের বাসিন্দা লাইয়াং মং ওরফে জিতু চাকমা (২২) ও হাজীগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল হোসেন (২৭) নামের দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। এদের কাছ থেকে ১৭৫০ পিস ইয়াবা ও নগদ ২৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের উত্তর পাড়া হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ি (পাথরকিল্লা বাড়ি) থেকে তাদের ইয়াবাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা। এর মধ্যে জিতু চাকমার কাছ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ও মো. সোহেল হোসেনের কাছ থেকে ৭৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
লাইয়াং মং ওরফে জিতু চাকমা কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লম্বাঘোনা গ্রামের ওটিয়া আং চাকমার ছেলে ও মো. সোহেল হোসেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ড টোরাগড় গ্রামের উত্তর পাড়া হোসেন উদ্দিন হাজী বাড়ির (পাথরকিল্লা বাড়ি) মহরম আলীর ছেলে।
লাইয়াং মং ওরফে জিতু চাকমার পেটের ভিতর ইয়াবা রয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তার পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবা বের করে।
অপরদিকে হাজীগঞ্জের মাদক কারবারি মো. কামরুল ইসলামের (৩২) কাছ থেকে ২০০ পিস ও কুমিল্লা জেলার শামীম ভুঁইয়ার (৩৫) কাছ থেকে ৩০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
এদিন বিকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের আতুরিয়া মাদ্রাসার উত্তর পূর্বপার্শ্বে কাজী বাড়ি সংলগ্ন মাদক কারবারি কামরুল ইসলামের বসতঘরের সামনে থেকে তাদের ইয়াবাসহ হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়। কামরুল ইসলাম ওই বাড়ির মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ও শামীম ভূঁইয়া কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার বাঙ্গুরী গ্রামের ফজলু ডাক্তার বাড়ির মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহুত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, সোমবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে, আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।