প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ২১:১৭
বাবুরহাটে কিশোরীকে অপহরণের পর উদ্ধার : এলাকায় তোলপাড়
চাকুরির প্রলোভনে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার একদিন পর তাকে উদ্বার করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদপুর শহরতলীর বাবুরহাট এলাকার আশিকাটি গ্রামের মুচিবাড়ির পিতৃ-মাতৃহীন ওই কিশোরীকে বোরকা পরিয়ে পার্শ্ববর্তী কল্যাণপুর ইউনিয়নের শেকা কবিরাজ বাড়ির পাশের এক বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই কিশোরীর প্রতিবেশি জয়নাল পাটোয়ারীর ছেলের বউ।
|আরো খবর
পরবর্তীতে সেই কিশোরীর অভিভাবক দিনেশ কুমারসহ পরিবারের সদস্যরা কিশারীকে বিভিন্নস্থানে খুঁজে না-পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশের কাছে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে জয়নাল পাটোযারীর পরিবারের সদস্যরা দীনেশকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। তার ভাতিজি অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে। বিষয়টি এক পর্যায়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চাচা দীনেশ চন্দ্র পরদিন কিশোরীর সন্ধানে বিভিন্নস্থানে গিয়ে পাশের ইউনিয়ন কল্যাণপুরের সফরমালী শেখা কবিরাজের বাড়ির পাশে জয়নাল পাটোয়ারীর ছোট মেয়ের বাড়িতে খুঁজে পায়। সেখান থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে আশিকাটির নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
এ নিয়ে বাবুরহাট এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন শুক্রবার বিকেলে বাবুরহাট একাদশ ক্লাবে এ নিয়ে সালিস বৈঠক হয়। সে বৈঠকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুকুমার কর রামু, রহমান শেখসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে জয়নাল পাটোয়ারী বিষয়টির জন্য উপস্থিত সকলের কাছে ও কিশোরীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চান বলে জানান সুকুমার কর রামু। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। এলাকার অনেকে বলছেন ওই কিশোরীকে বিদেশে পাচারের জন্যেই অপরহরণ করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে জানান তারা।
এদিকে ওই কিশোরীর বাড়ি গেলে তাকে আবারো অপহরণ কিংবা অসহায় মুচি পরিবারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কার কথা জানান তারা। এ বিষযে জয়নাল পাটোয়ারী তার মেয়ের বাড়িতে দরিদ্র এই কিশোরীকে নিযে যাওয়ার বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে বলেন তাকে কাজের জন্য নেয়া হয়েছে। ওই কিশোরী জানায়, তাকে জয়নাল পাটোয়ারীর পরিবারের সদস্যরা ভালোভাবে থাকা খাওয়া ও চাকুরির আশ্বাস দিয়ে তাকে তাদের সাথে যেতে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে। তাইতো তাদের কথামতো সে কাজ করেছে। এ ব্যাপারে আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বর্তমানে দরিদ্র পরিবারের অসহায় কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা এক অজানা আতঙ্কে রয়েছেন বলে তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।