শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১৯:০৭

হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মানে ধীরগতি : কাজের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি ৩০ শতাংশ

পাপ্পু মাহমুদ
হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মানে ধীরগতি : কাজের মেয়াদ শেষ হলেও অগ্রগতি ৩০ শতাংশ

সরকার দেশের জেলা ও উপজেলা শহরে একটি করে মোট ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ইতিমধ্যে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় হাজীগঞ্জ উপজেলায়ও মডেল মসজিদ নির্মাণ শুরু করে সরকার।

গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। দেড় বছরে কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। কাজের এমন ধীরগতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। ২০২০ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছেন।

মডেল মসজিদ গুলো শুধু নামাজের স্থান নয়, ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানর্চচারও স্থান। মডেল মসজিদ গুলো দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে নির্মিত হওয়ায় এর প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

হাজীগঞ্জ গোরীপুর সড়কের পাশে কাজীরগাওতে ৪০ শতাংশ জায়গার উপর হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণ হচ্ছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণ করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আজিজ ব্রার্দাস। আজিজ ব্রার্দাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের ১২ তারিখ নির্মাণ কাজ শুরু করে। বেইজ ঢালাইয়ের পরপরই বর্ষার পানি চলে আসে এবং ২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর কারণে মার্চের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায় । কিছুদিন পর বর্ষার পানির নিচে পড়ে যায় নির্মাণাধীন অংশ। ২০২০ শেষের দিকে বর্ষার পানি চলে যায়।

গত বছরের শেষের দিক ও এ বছরের অর্ধেকে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তা তেমন আশানুরূপ নয়। এ নিয়ে এলাকার মানুষকে প্রায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এলাকার একাধিক লোক কাজের ধীরগতির কারন হিসাবে ঠিকাদারের গাফিলতিকে দায়ি করেন। একই ঠিকাদার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মডেল মসজিদটিও নির্মাণ করছেন বলে জানা যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জের নির্মাণকে গুরুত্ব না দিয়ে ফরিদগঞ্জের কাজটি দ্রুত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে প্রায় একই সময় কচুয়া মডেল মসজিদের কাজ শুরু করলেও সেটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণে ধীরগতির কারন জানতে কথা হয় চাঁদপুর গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঠিকাদারের সাথে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জ মডেল মসজিদটি নির্মাণের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ঠিকাদার পুনরায় সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০শতাংশ কাজ হয়েছে।

বিষয়টি জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল আজিজ মিয়াজী চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, জায়গাটা পুকুর ছিল তাই অনেক নিচে থেকে কাজটা তুলতে হয়েছে। নিচু জায়গা হওয়ায় বর্ষার পানির কারণে অনেকদিন কাজ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও করোনা আর লকডাউনের কারণসও কাজ বিলম্বিত হয়। কাজের বিলম্বের মাশুল আমাকেই দিতে হচ্ছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বছরও কাজ হচ্ছে, তবে বালু দিয়ে ভরাটের কাজটি যাদের দিয়েছি তারা কাজটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করছে না।

চাঁদপুর গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় গোলদার চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, কাজটি সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আজিজ ব্রার্দাস সময়ের জন্য আবেদন করেছেন। জায়গাটি নিচু হওয়ার কারনে সময় বেশি লাগছে। ঠিকাদার আশানুরূপ কাজের অগ্রগতি দেখাতে পারেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়