হরিনা ফেরিঘাটে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ : ঘাট এলাকায় তীব্র যানজট

মাওয়াঘাটে সীমিত ফেরি চলাচল আর মেঘনা নদীতে কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ রুটে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর হরিনাঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃস্টি হয়েছে।শনিবার রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক গাড়ি ফেরি পার হবার জন্য ঘাটে আটকা পড়েছে।

তবে বিআইডব্লিউটিসির হরিনাঘাট ব্যবস্থাপক আবদুন নূর তুষার বলেন, ৭টি ফেরির মধ্য ৬টি ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে।

গত ৩/৪ দিন যাবত এ রুটে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্কিং ইয়ার্ডে তিন'শ আর রাস্তার উপর প্রায় ৫০টির মতো গাড়ি রয়েছে। আমাদের ফেরিগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।আশাকরি দুই একদিনের মধ্য গাড়ির এ জট থাকবে না।

সরজমিনে হরিনা ঘাটে গিয়ে জানা যায়, গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায়

প্রকট হচ্ছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি নৌপথের দুর্ভোগ। মাওয়া ঘাট বন্ধ থাকায় এই রুটে গাড়ির চাপ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।তার মধ্য ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল। আছে ফেরি স্বল্পতার অভিযোগও। এতে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্নিষ্ট সড়কে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। তীব্র শীতে ট্রাক চালকদের পার্কিং টার্মিনালে এবং সড়কেই পার করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যান পারাপার করা হলেও তিন থেকে চার দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ট্রাকচালক-হেলপারদের।

হরিনা চৌরাস্তায় আটকা পড়া ট্রাকগুলোর দীর্ঘ লাইন এর কারণে সেখানে চাঁদপুর হাইমচর রুটের বিভিন্ন যানবাহনও তীব্র যানজটের কবলে পড়ে

যাত্রীসাধারণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে নতুন ফেরি সংযোজন করা না হলে এ পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।