হাজীগঞ্জের রান্ধুনীমুড়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর পাঁয়তারাসহ নিরীহ পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের খন্দকার বাড়িতে একটি নিরীহ পরিবারের সম্পত্তির ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে একই বাড়ির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এ পরিবারের সম্পত্তি দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক দখল করে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ

বাড়িছাড়া করে রেখেছে।

জানা যায়, মৃত মো. জামাল হোসেন গংয়ের সম্পত্তি একই বাড়ির মো. ইয়াছিন, মো. বাচ্চু, বসু মিয়া, আলমগীর হোসেন ও সফিক মিলে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে আসছে। এমনকি মৃত জামাল হোসেনের পরিবারের নারী-পুরুষ সকলের ওপর হামলা করাসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বাড়িছাড়া করে রাখে। দীর্ঘ বছর ধরে তারা বাড়িতে ঠিকমতো বসবাস করতে পারে নি। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।

ইতোমধ্যে পুনরায় মৃত জামাল হোসেন গংয়ের সম্পত্তির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে

জামাল হোসেনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম তাদেরকে নিষেধ করলে তাকে গালমন্দ করাসহ মারার জন্যে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে রাবেয়া বেগম হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকি জামাল হোসেনদের সম্পত্তির ওপর দিয়ে জোরপূর্বক বৈদ্যুতিক লাইন নেওয়ার জন্যে সকল কিছু প্রস্তুত করে রাখে। এ নিয়ে মৃত জামাল হোসেনের মেয়ে ইশরাত জাহান (২৯ জানুয়ারি ২০২৫)

জেনারেল ম্যানেজার, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (১), হাজীগঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞ

হাজীগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে দে. বন্টন ০৯/২০১৮ নম্বর মোকদ্দমা চলমান অবস্থায় রয়েছে। নালিশি ভূমির ওপর দিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি নেওয়া হলে রাবেয়া বেগমদের বসতবাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণ করা অসুবিধা হবে। নালিশি ভূমির ওপর দিয়ে ড্রপ তার নিলে তাদের বসবাসের অসুবিধাসহ মূল্যবান গাছ কেটে ফেলতে হবে। বিদ্যুতের খোলা তারে তাদের মারাত্মক দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাবেয়া বেগমদের

ক্ষতি না করে

বৈদ্যুতিক খুঁটি বসিয়ে লাইন নেওয়ার জন্যে আবেদনকারীগণের বিকল্প রাস্তায় বিদ্যুৎ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে ।

নালিশি ভূমিতে থাকা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উল্লেখিত ব্যক্তিরা

জোরপূর্বক প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যুতের লাইন নেওয়ার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে।

এ নিয়ে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে রাবেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীর পরিবারের সম্পত্তি প্রায় ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে এরা জোরপূর্বক ভোগদখল করাসহ দখল করার চেষ্টা করে। আমাদের ওপর হামলা মামলা করাসহ বাড়িছাড়া করে রাখে। তাদের অত্যাচারে আমরা বাড়িতে থাকতে পারি না।আমার সন্তানেরা তার চাচা মৃত মনিরুজ্জামান মাস্টারের চাকুরিস্থল চাঁদপুর সদরের বাগাদী ইউনিয়নের জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে চাচার নিকট থেকে পড়াশোনা করেছে। এরা আমাদের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে। আমাদের সম্পত্তিতে মাটি ফেলে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার জন্যে মাটি কাটলে এবং আমি নিষেধ করলে আমাকে গাল মন্দকরাসহ মারধর করার জন্যে দৌড়ে আসে। মান-সম্মানের ভয়ে আমি কিছু না বলে চলে যাই। এমনকি হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেই। বিদ্যুতের লাইন আমাদের সম্পত্তির ওপর দিয়ে নেওয়ার জন্যে সকল কিছু ঠিক করে রাখে।আমার মেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযোগ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার এস আই সাজ্জাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, রাবেয়া বেগম মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নেবো। চাঁদপুর পল্লী সমিতি-১, হাজীগঞ্জ-এর ভারপ্রাপ্ত

জেনারেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে অভিযোগকারী ফোন করেছেন। স্যার ছুটিতে আছেন। বলেছি রোববার বা সোমবার যোগাযোগ করার জন্যে।