রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৪১

মতলবে ঘিলাতলী মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় নকল

ফটোস্ট্যাটের দোকান সীলগালা ও মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

মাদ্রাসার হিসাব সহকারীকে দু বছরের কারাদণ্ড :  দু অধ্যক্ষকে পরীক্ষার  দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি
রেদওয়ান আহমেদ জাকির

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ২০২৫) দাখিল পরীক্ষার গণিত বিষয়ে নকল সরবরাহের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী জসিম উদ্দিন বকাউলকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমজাদ হোসেন দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের সচিব মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল বাশার প্রধানীয়া ও হল সুপার কাচিয়ারা জামালিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম ওয়ালিউল্যাহকে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

এছাড়া কেন্দ্র সংলগ্ন আবু সাঈদের ফটোস্ট্যাট ও স্টেশনারী দোকানে উত্তরপত্রের মিল সম্বলিত কাগজ পাওয়ায় দোকানটি সীলগালা করে দেয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেয়া হয়। এ ঘটনার তদন্তের জন্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গাউছুল আজম পাটোয়ারী বলেন, এদিন দাখিল গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মাদ্রাসার অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী কেন্দ্র সচিবকে না জানিয়ে কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্যে ফটোকপি করতে আবু সাঈদের দোকানে যান। এ বিষয়টি বাইরে একাধিক সাংবাদিকের নজরে আসলে তারা জেলা প্রশাসককে ফোন দিয়ে অবগত করান। জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-এর মাধ্যমে বিষয়টির সত্যতা পান। ইউএনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত মাদ্রাসার অফিস সহায়ক কাম হিসাব সহকারী গিয়াস উদ্দিন বকাউলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এ সময় অভিযুক্ত আবু সাঈদের ফটোস্ট্যাট ও স্টেশনারী দোকানে উত্তরপত্রের সাথে কাগজপত্রের মিল থাকার অভিযোগে তার দোকান সীলগালা করে দেয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, এই কেন্দ্র সচিব ও হল সুপারের পরিবর্তে কালিয়াইশ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সফিকুল ইসলামকে কেন্দ্র সচিব এবং নন্দীখোলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আলী আহাম্মদকে হল সুপারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে আমাকে সহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুন নাহার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আহম্মেদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমজাদ হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়