প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৫, ২২:২০
চাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি
গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে : মাওলানা মাকসুদুর রহমান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেছেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে, তা মানবতার জন্যে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। গত ক'দিনে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লীগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার (২২ মার্চ ২০২৫) রাত ১০টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে তাৎক্ষণিক এক ঘোষণায় চাঁদপুর বাইতুল আমিন শপথ চত্বরে 'গাজায় নজিরবিহীন ইসরায়েলী হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে' বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান। জেলা সেক্রেটারি কেএম ইয়াসিন রাশেদসানীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা গাজী মুহাম্মদ হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেলাল আহমাদ, জেলা ছাত্রনেতা ডিএম ফয়সাল, শহর সেক্রেটারি শরিফ মৃধা, যুবনেতা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, রাহাত খান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মাকসুদ আরও বলেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও ইসরাইলে কি কোন বিবেকবান মানুষ নেই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিষ্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইসরাইলকে থামানোর মতো কেউ নেই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কী দরকার? যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে ইসরাইল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইসরাইলের এই বর্বরতা সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে। ইসরাইলি বর্বরতা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য, সব ক'টিতে এই গণহত্যা বন্ধে জরুরি মিটিং আহ্বান করে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, সেটা নিয়েই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করে মোদি সরকার মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে উঠে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য বর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি।
বাইতুল আমিন মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিরাট মিছিল হকার্স মার্কেট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক ঘুরে কুমিল্লা রোড দিয়ে বাসস্ট্যান্ড হয়ে পুনরায় কুমিল্লা রোড হয়ে বিপণীবাগ পৌর সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।