প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:১৪
প্রবাসীর অর্থায়নে স্টীলের ব্রীজ নির্মাণ
কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি

কচুয়া উপজেলাধীন কাদলা ইউনিয়নের বড়ইগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী দুলাল মোল্লার নিজস্ব অর্থায়নে স্টীলের ব্রীজ নির্মিত হওয়ায় কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। কচুয়া উপজেলার ৮নং কাদলা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার রঘুনাথপুর গ্রাম এবং পাশ্ববর্তী উপজেলা হাজীগঞ্জের তারাপল্লা গ্রামের বোয়ালজুরি খালের ওপর স্টীলের ব্রীজ নির্মাণ হওয়ায় দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল রঘুনাথপুরের উঁচু ব্রীজটি। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজটি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ওমান প্রবাসী দুলাল মোল্লার নজরে আসে। তখন থেকে তিনি দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীদের জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দেন।
ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় দীর্ঘ দু মাস রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দু উপজেলার সাধারণ মানুষ অনেক ভোগান্তিতে ছিলো। অবশেষে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী বোয়ালজুরি খালের ওপর নির্মাণ সম্পন্ন হলো স্টীলের ব্রীজটির। ব্রীজটি দৈর্ঘ্যে ১১০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট। ব্রীজটি নির্মিত হওয়ায় অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা অনেক উৎফুল্ল। এ বিষয়ে দুলাল মোল্লার বাবা তাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার ছেলে এমন একটি মহৎ কাজ করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে যেন সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে পারে সে জন্যে সকলের নিকট দোয়া চাই।
৮ নং কাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, বড়ইগাঁও গ্রামের দুলাল মোল্লা দুই উপজেলার জনগণ, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজস্ব অর্থায়নে ব্রীজটি নির্মাণ করে দেওয়ায় তাঁর প্রতি ইউনিয়নবাসী কৃতজ্ঞ। এই সেতু দিয়ে লোকজন সহজেই চলাচল করতে পারবে। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩ নং কাঁলচো উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন কিসলু জানান, এখনো সমাজে অনেক দানশীল মানুষ রয়েছেন। ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর দুলাল মোল্লাকে বিষয়টি জানালে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের অর্থায়নে স্টীলের ব্রীজটি নির্মাণ করে দেন। ব্রীজটি নির্মাণ করে দেওয়ায় হাজীগঞ্জ উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। স্টীলের ব্রীজটি নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। ব্রীজটি উদ্বোধনকালে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।