বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৪৭

চাঁদপুরে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে হিজড়াদের মধ্যে উত্তেজনা

মিজানুর রহমান
চাঁদপুরে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে হিজড়াদের মধ্যে উত্তেজনা

চাঁদপুরে এলাকা ভিত্তিক টাকা উঠানো এবং আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপ হিজড়াদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।যে কোন সময় তাদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা করছে সাধারণ হিজড়ারা। ইতিমধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে তাদের মধ্যে একাধিক মধ্যেমারামারির ঘটনাও ঘটেছে। আর পথে ঘাটে হিজড়াদের উৎপাত বন্ধে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপ চেয়েছে সুধীমহল। বুধবার রাতে হিজড়া সম্প্রদায় ২ ভাগে ভাগ হয়ে মারমুখী হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

জানা যায়, চাঁদপুরে হিজড়া গ্রুপে একক আধিপত্য চালাচ্ছে মৌসুমী হিজড়া। যিনি চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের খলিশাডুলী গ্রামে এক আলিশান বাড়ী বানিয়েছেন। যেখান থেকে তিনি কন্ট্রোল করেন পুরো হিজড়া গ্যাং। কিন্তু সরকারি নানা অনুদান ও বিশিষ্টজনদের সহযোগিতা এবং সাপ্তাহিক নানা সময়ের টাকা পয়সা নয়ছয় করেন মৌসুমী। আর তাই মৌসুমীকে বাদ দিয়ে মাহমুদা হিজরার নেতৃ‌ত্বে জা‌কির, সুমন, আক্তার, জু‌য়েলসহ বেশক‌য়েকজন হিজড়া আলাদা গ্রুপ তৈরি করেছেন। আর এটাই মেনে নিতে পারছেন না চাঁদপুর হিজড়া কমিটির সভাপতি মৌসুমী হিজড়া।

এ বিষয়ে মাহমুদা হিজড়া বলেন, মৌসুমী আমাদের কষ্টের টাকা মেরে দিয়ে প্রতারণা করে নিজে আরাম আয়েশ করে। সরকারি কোন অনুদানের হিসাবই সে আমাদের দেয় না। আমাদেরও পেটে ক্ষুধা আছে। তাই আমরা আর মৌসুমীর সাথে কোন কাজে নেই।

এ বিষয়ে মৌসুমী হিজড়া বলেন, আমরা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে বসবাস করি। বিয়ে, বাচ্চা হওয়াসহ নানা সময়ে আমাদের দল হাসিখুশিভাবে মানুষের সহযোগিতা নেয়। এছাড়াও দোকান ও প্রতিষ্ঠান থেকে মানবিক সহযোগিতা নিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে সরকারি কিছু অনুদান আসলে তাও আমি সবার মাঝে ভাগ করে দেই। সবাইকে নিয়ে একসাথে চলি। এটা কয়েকজনের সহ্য হচ্ছে না। আমাদের এলাকা ভিত্তিক টাকা উঠানোর নিয়ম থাকলেও হাইমচরের গ্রুপ তা না মানায় আমরা পৌর মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এসময় মৌসুমীর সাথে নিপা,হোসনে আরা, কারিনা, মফিজ, রবি,বিজলীসহ অন্য হিজড়া উপস্থিত ছিলো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, পূর্বেও হিজড়াদের নিয়ে আলোচনা করে কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলাম। এখন আবার তাদের মাঝে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে এক গ্রুপ অভিযোগ দিয়েছে। আমরা দ্রুতই উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়