রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

প্রেরণাময়ী জায়া দুর্জয় জননী
অনলাইন ডেস্ক

আমরা সাধারণ জ্ঞানের বইয়ে পড়েছি, পৃথিবীর প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে। কিন্তু তাঁর ঘরে-বাইরের সংগ্রামী জীবনের অনেক কিছুই আমাদের অজানা। কীভাবে অসীম ধৈর্য্য ও সাহসের সঙ্গে তিন-তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন অনেকেই জানেন না। একের পর এক পারিবারিক বিপর্যয়েও তিনি ভেঙে পড়েননি। কখনো প্রেরণাময়ী স্ত্রী, কখনো লক্ষ্যস্থির জননী, কখনো সাহসী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ৮৯ বছরের দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করে গেছেন।

জন্ম হয়েছিলো শ্রীলঙ্কার অভিজাত পরিবারে। মাতামহ ছিলেন বহুভাষাবিদ। সংস্কৃত, পালি, হিন্দি, বাংলা, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইংরেজি জানতেন। তাঁর লাইব্রেরি ভর্তি ছিলো বই। ছোটবেলা থেকে শ্রীমাভোর অবাধ বিচরণ ছিলো সেখানে। জ্যোতিষ শাস্ত্র থেকে উদ্ভিদ বিদ্যা, এহেন বিষয় নেই পড়েননি শ্রীমাভো সেই লাইব্রেরিতে। এই লাইব্রেরির আলোই পরবর্তী জীবনে তাঁকে বিকাশিত হতে প্রেরণা দিয়েছিলো।

বাবা বার্নেস রাতওয়েতে ছিলেন রাজনীতিবিদ। তাঁদের পূর্বপুরুষ কেন্ডির রাজাপ্রসাদে বড় পদে চাকরি করতেন। তাই শ্রীমাভোর রক্তে নেতৃত্বের বীজ ছিলো। স্কুলজীবন সমাপ্ত করেছিলেন ক্যাথেলিক চার্চ পরিচালিত স্কুল সেন্ট বৃজেট কনভেন্ট থেকে। ১৯ বছর বয়সে স্কুল শেষ করে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। ১৯৪০-এ মাত্র ২৪ বছর বয়সে অক্সফোর্ড ফেরত আইনজীবী, রাজনীতিবিদ সলোমন ওয়েস্ট রিজওয়ে দিয়াস বন্দরনায়েকের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব আসে। প্রথমে রাতওয়েতে পরিবার রাজি ছিলো না। প্রথমত পাত্র তাদের মতো কুলীন বংশোদ্ভূত নয়, খ্রিস্টান থেকে তাঁরা বৌদ্ধ হয়েছে। দ্বিতীয়ত পাত্রীর সঙ্গে বয়সের ফাঁরাক অনেক। প্রায় ১৭ বছর। কিন্তু পাত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখে গাইগুই করে রাজি হয়ে যান রাতওয়েতে। পাত্র তখন ব্রিটিশ সরকারের অধীন সেস্ট কাউন্সিলের স্থানীয় প্রশাসন বিষয়ক মন্ত্রী।

পরের বছর শ্রীমাভো লঙ্কা মহিলা সমিতিতে যোগদানের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন। ১৯৪৭ সালে শ্রীলঙ্কা (তখন সিনল) স্বাধীনতা লাভ করলে স্বামী বন্দরনায়েকে রাজনীতিতে আরো অধিক সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি আন্তানাগোলা জেলা থেকে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচিত হন। তাঁর দল জিতলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। পরে সংসদ নেতাও হন। কিন্তু ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির আভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। শ্রীমাভো তখন তাঁকে দল ছেড়ে নতুন দল গঠনের পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শে তিনি সিলন ফ্রিডম পার্টি গঠন করেন। ১৯৫২ সালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় স্বামীর সঙ্গে ফ্রিডম পার্টির হয়ে সিংহল চষে বেড়ান। সে নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টি ৯টি আসন পায়। বন্দরনায়েকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হন।

১৯৫৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় বন্দরনায়েকে চারটি সমমনা দল নিয়ে মহাজন একসাথ পেরামুনা গঠন করেন। সেবারও শ্রীমাভো স্বামীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। সে নির্বাচনে মহাজন একসাথ পেরামুনা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। ১৯৫৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এক বৌদ্ধ যাজকের গুলিতে তিনি নিহত হন।

শ্রীমাভো রাজনীতিতে আসবেন কখনো ভাবেননি। তিনি তাঁর তিন সন্তানের প্রতিপালন ও লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বন্দরনায়েকের অনুপস্থিতিতে মহাজন একসাথ পেরামুনা ভেঙে যায়। নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। মার্চ ১৯৬০-এর নির্বাচনে দেখা যায় ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি মাত্র ৪টি আসন বেশি পেয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পায়। কিন্তু জুলাই মাসে এক অনাস্থা ভোটে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হয়। শ্রীলঙ্কা এক গভীর সাংবিধানিক সংকটে পড়ে। এর আগেই মে মাসে ফ্রিডম পার্টির কার্যনির্বাহী পরিষদ শ্রীমাভোকে সভাপতি নির্বাচিত করে। জুন মাস থেকে শ্রীমাভো তাঁর স্বামীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন।

এ প্রসঙ্গে তাঁর বড় মেয়ে সুনেত্রা বলেছিলেন, ‘মা তাঁর ¯িœগ্ধতা ও লাজুকতা একপাশে করে বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অভিযানে নামেন। তার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না রাজনীতিতে আসার। তাঁর লক্ষ্য ছিলো তার তিন সন্তানকে মানুষ করা’।

১৯৬০-এর ২১ জুলাইয়ের নির্বাচনে তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান। পৃথিবীর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শ্রীমাভো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বিবিসি প্রশ্ন করেছিলো, ‘আপনি দুনিয়ার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, এটা কি আপনার মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলছে? এতে আপনি নিজেকে অনেক শক্তিশালী না দুর্বল ভাবছেন?’

লাজুক হেসে বলেছিলেন, ‘শক্তিশালীই মনে হচ্ছে।’

‘এতে আপনি কি মনে করেন পুরুষদের তুলনায় আপনি সমস্যা সমাধানে বেশি সক্ষম হবেন?’

‘দ্যাটস লেফট টু বি সিন (দেখাই যাক)’, আরেকটা লম্বা হাসি দিয়ে উত্তর দেন।

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে কঠিন সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ঠা-া মাথায় একের পর এক সংকট মোকাবিলা করেছেন। তাঁর নামে যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছে। তাঁর ভাগনে ফেলিক্স ডিয়াস বন্দেরনায়েককে নিয়ে তিনি ‘কিচেন কেবিনেট’ করেছিলেন বলে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে।

তিনি তাঁর স্বামীর কাজের ধারাবাহিকতায় প্রধান অর্থনৈতিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত করতে থাকেন। সাতটি প্রধান সংবাদপত্র বন্ধ করে দেন। ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রায়াত্ত করা হয়। সরকারি অনুদানে চলা খ্রিস্টানদের স্কুলগুলোও সরকারি করে দেন। ১৯৬১ সালে ইংরেজির পরিবর্তে তিনি সিংহলী ভাষাকে সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেন। এতে ২০ লাখ সংখ্যালঘু তামিল সংক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এদিকে মুদ্রাস্ফীতি ও অধিক হারে ট্যাক্স নেয়াকে কেন্দ্র করে জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয়। বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলো একের পর ধর্মঘট ডাকতে থাকে। পরিবহন শ্রমিকদের এমনই এক ধর্মঘটে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি পরিবহন খাত রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

তার একের পর এক লাভজনক প্রতিষ্ঠান সরকারি করার কারণে ধনী শ্রেণি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাদের ইন্ধনে সামরিক অভ্যুত্থানের উদ্যোগ নেয় সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তা। সৌভাগ্যবশত পুলিশ সেই ষড়যন্ত্রের কথা আগে জেনে যাওয়ায় শ্রীমাভো রক্ষা পেয়ে যান।

তখন ¯œায়ুযুদ্ধের কাল চলছিলো। খুব হিসাব-নিকাশ করে বিশ্বরাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে হয়। তিনি ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চীনের কাছে আসার চেষ্টা করেন। চীন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধের সময় তিনি দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টাও করেছেন।

দেশে তিনি চীনের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে পড়ার কারণে সমালোচিত হন। সিংহলী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত ছিলো আরেকটি সমালোচনার বিষয়। এদিকে মুদ্রাস্ফীতির কারণে নি¤œ আয়ের মানুষের নাভিঃশ্বাস ওঠার দশা হয়েছিলো। তিনি রাষ্ট্রীয় পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন গঠন করে তেল পরিশোধনের উদ্যোগ নিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর ইচ্ছেমতো তেলের মূল্য বৃদ্ধির উপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হন।

১৯৬৪ সালে সিলন সিভিল সার্ভিসকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। সব দপ্তরের লোকজনকে কৈরানিক কাজের পাশাপাশি নিজ দপ্তরের পেশাগত প্রশিক্ষণ নিতে তিনি বাধ্য করেন। ফলে শ্রীলঙ্কার প্রশাসনে একটা বড় ধরনের সংস্কার করেন তিনি।

১৯৬৪ সালে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে তামিলদের ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। তাতে ভারত সোয়া ৫ লাখ তামিলকে নিজ দেশে নিয়ে যেতে রাজি হয়। বিনিময়ে শ্রীলঙ্কা ৩ লাখ তামিলকে নাগরিকত্ব দেয়। এ দিকে জনগণের ক্ষোভ ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৬৪ সালে এক অনাস্থা ভোটে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ১৯৬৫ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রথম দফার শাসনকাল শেষ হয়।

তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দুদলে সেনানায়ক শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হন। তিনিও দেশের সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হন।

১৯৭০ সালে শ্রীমাভোর নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘাটতি নিয়ে সরকার পরিচালনা করতে ভীষণ বিপাকে পড়েন তিনি। ১৯৭১ সালের ৬ মার্চ কলম্বোয় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে সন্ত্রাসী হামলা হয়। ছোট্ট দীপদেশ শ্রীলঙ্কা সারা দুনিয়ার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিমান পাঠায়। সাহায্য পাঠায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুগশ্লোভেকিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি, নরওয়ে এবং পোল্যান্ড। ভারত ও পাকিস্তান সৈন্য পাঠায় শ্রীমাভোকে সাহায্য করার জন্যে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দেয়। পাকিস্তানী যুদ্ধ জাহাজগুলোকে রসদ সরবরাহ করতো তারা। শ্রীমাভোর চীনমুখী পররাষ্ট্রনীতির কারণে পাকিস্তান এ সমর্থন পেয়েছিলো। তাঁর আমলেই এলটিটিই বা লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলমের জন্ম হয়। চীনের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে যাওয়া ও সাম্প্রদায়িক আচরণের কারণে দেশ গভীর সংকটের দিকে এগুতে থাকে।

১৯৭২ সালে শ্রীলঙ্কায় নতুন সংবিধান প্রণয়ন করেন। সিলনের পরিবর্তে দেশটির নাম ‘শ্রীলঙ্কা’ ঘোষণা করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বিশ্বে প্রথম মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় গঠন করেন। ১৯৭৭ সালে জাতীয় নির্বাচনে শ্রীমাভো হেরে যান।

ক্ষমতাচ্যুতির পর তাঁর উপর নেমে আসে একটার পর একটা নির্যাতনে খড়গ। ১৯৮০ সালে তাঁর সকল মৌলিক অধিকার স্থগিত করে দেয়া হয়। যাতে তিনি কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর মেজো মেয়ের স্বামী গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত হন। এতো কিছুর মধ্যেও লক্ষ্যে স্থির ছিলেন শ্রীমাভো।

পরবর্তীকালে শ্রীলঙ্কায় সংসদীয় সরকারের পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার চালু হয়। শ্রীমাভোর মেজো মেয়ে চন্দ্রিকা বন্দরনায়েকে ১৯৯৪ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। শ্রীমাভোকে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেন।

এক সময়ের গৃহবধূ শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে তিন-তিনবার শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সারা পৃথিবীতে তিনি নারী প্রগতির প্রতীক হয়ে আছেন। ২০০৫ সালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, ডেইলি মিরর, বিবিসি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়