প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুরে পেঁয়াজ-মরিচের দামে আগুন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির খড়গ সাধারণ মানুষের ঘাড় থেকে কিছুতেই নামছে না। নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। এক পণ্যের দাম কমলে আরেক পণ্যের দাম বাড়ছে। বাজার করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে; আলু ৫৫-৬০ টাকায়। এছাড়া কাঁচামরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়।
৬০-৮০ টাকার কাঁচামরিচ এখন ২৬০-৩০০ টাকা। নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে পেঁয়াজ নিয়ে। ১ কেজি পেঁয়াজ ভোক্তা পর্যায়ে এখন ১২০ টাকা। পাইকারি ৯৪ থেকে ১০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের পেঁয়াজের পাইকারি মার্কেট পুরাণবাজার আলুপট্টি, মসজিদ পট্টি ও পালবাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান ঘুরে পেঁয়াজের বাড়তি দামের সত্যতা পাওয়া গেছে। এলাকাভেদে খুচরা দোকানে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।
তবে এলসি পেঁয়াজ আসায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন পাইকারি পেঁয়াজ রসুন আদা ব্যবসায়ী মোস্তফা মোল্লা ও রিমন সরকার।
মসজিদ পট্টির রহমানের এক ট্রাক ইন্ডিয়ান এলসি পেঁয়াজ সোমবার চাঁদপুর ঢুকেছে। এলসি পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বর্তমানে নতুন দেশি পেঁয়াজ সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ সপ্তাহ আগে যার বিক্রয়মূল্য ছিল সর্বনিম্ন ৯০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। একই পেঁয়াজ ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায়। আর ১ বছর আগে এই সময়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা দরে। সেই হিসাব অনুযায়ী ১ বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি।