রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

আজ পবিত্র শবে ক্বদর : কোরআন নাজিলের রাত

এএইচএম আহসান উল্লাহ্ ॥
আজ পবিত্র শবে ক্বদর : কোরআন নাজিলের রাত

পবিত্র কোরআন মাজীদসহ সকল আসমানি কিতাব রমজান মাসে নাজিল হয়েছে। এর মধ্যে পবিত্র কোরআন মাজীদ নবী করিম (দঃ)-এর উপর প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে রমজান মাসের ক্বদরের রাতে। তবে পুরো কোরআন মাজীদ এক সাথে অবতীর্ণ হয়নি। হুজুর (দঃ)-এর ২৩ বছরের জিন্দেগীতে ক্রমান্বয়ে এই কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ হয়।

নবী পাক (দঃ)-এর উপর পবিত্র কোরআনের যে ক’টি আয়াত প্রথম অবতীর্ণ হয় সে সময়টি ছিলো ক্বদরের রাত বা শবে ক্বদর। পবিত্র কোরআনে যাকে বলা হয়েছে লাইলাতুল ক্বদর। এ সম্পর্কে কোরআন মাজীদে ‘সূরাতুল ক্বদর’ নামে স্বতন্ত্র একটি সূরা রয়েছে। সে সূরাতেই বলা হয়েছে ক্বদরের রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। এখন ক্বদরের রাত কোন্টি এ সম্পর্কে সাহেবে কোরআন হুজুর (দঃ)-এর ঘোষণা হচ্ছে : তোমরা রমজান মাসের শেষ ১০ রাতের যে কোনো বেজোড় রাতে ক্বদর তালাশ করো। এই রাতের মর্যাদা ও গুরুত্ব উম্মতের কাছে অধিক হারে তোলার জন্যে নবীজী শবে ক্বদরকে গোপন রেখেছেন। যাতে উম্মত রমজানের শেষ ১০ রাত ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়। তবে হানাফী মাজহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা (রঃ) গবেষণা করে শবে ক্বদর ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, পবিত্র কোরআনে লাইলাতুল ক্বদর বাক্যটি তিনবার এসেছে। আর আরবিতে লাইলাতুল ক্বদর লিখতে নয়টি অক্ষরের প্রয়োজন। ৯ কে ৩ দিয়ে গুণ করলে ২৭ হয়। অর্থাৎ ২৬ রমজানের দিবাগত রাত হচ্ছে পবিত্র শবে ক্বদর। তাঁর এই গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্তটি ইজমা ও কিয়াস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। যা ইসলামের তৃতীয় ও চতুর্থ দলিল। শবে ক্বদরে কোরআন নাজিল হওয়ায় এই রাতের এতো মর্যাদা ও গুরুত্ব। কোরআনের ভাষায় ‘খাইরুম মিন্ আলফে শাহরিন’ অর্থাৎ হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম হচ্ছে এ রাতের ইবাদত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়