প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শুভ বড়দিন আজ
আজ ২৫ ডিসেম্বর, শুভ ‘বড়দিন’। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ দিন খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দিনটি সারা পৃথিবীর খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের এবং তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিনে তারা আনন্দে মেতে উঠবেন। বাংলাদেশেও দিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হবে। এ ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বড়দিনে দেশের তারকা হোটেলগুলোতে থাকছে বর্ণাঢ্য আয়োজন।
এবার আবারও আসবে সান্তা ক্লজ। হোটেলগুলোতে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, গুডিজ হাউস, কিডস কার্নিভ্যাল। আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ বুফে লাঞ্চ, ডিনারের। বর্ণিল আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়ে উঠেছে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, লা মেরিডিয়ান, রেডিসন ব্লু ঢাকা, ওয়েস্টিন, ঢাকা রিজেন্সি, রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেল, বাহার মাল্টি-কুইজিন রেস্তোরাঁ, অ্যারোমাজ রেস্টুরেন্টসহ ছোট বড় অনেক রেস্তোরাঁ।
বাড়িঘর নানা রঙের আলোয় সাজিয়ে যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে দিনটি। গির্জা, বাড়ির দরজা ও বেলকনি সাজানো হয়েছে গো-সালা, ক্রিসমাস ট্রি আর বর্ণময় বাতি দিয়ে। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীদের মতে, পুনর্জন্ম, নতুন শুরু, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্কের নবজীবন দানের উৎসবই হলো বড়দিন। রঙিন বাতিতে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ এবং স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। গির্জায় প্রার্থনা শুরু ও শেষের পর গাওয়া হবে বড়দিনের বিশেষ গান ও বন্দনা সংগীত।
দুই হাজার বছর আগে এই দিনেই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্ট ধর্মানুসারীর বিশ্বাস করেন, বেথেলহেমের এক গোয়াল ঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নেওয়া যিশু ছিলেন ঈশ্বরের পুত্র। সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই এ পৃথিবীতে আগমন ঘটে যিশুর। তাই তার জন্মের বহু বছর পর থেকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন।
৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দিলেও উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সে সময় এর নাম দেওয়া হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মত বাংলাদেশও ক্রিসমাস দিবস সরকারি ছুটির দিন। এই দিনে সকল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী গোটা পৃথিবীর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে প্রার্থনা করে যিশুকে স্মরণ করবে। সূত্র : অনলাইন।