প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জে বড়কুলে জোড়া খুনের ঘটনায় র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত ইউনিয়ন তরুণ লীগের সভাপতি কাউছার হামিদকে (৩০) রিমান্ড চেয়েছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। এর আগে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। সে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত আতিকুর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সে পলাতক ছিলো। এ ঘটনায় সম্প্রতি স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আতিক পাটওয়ারী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী হাছান মিয়াজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাছান মিয়াজী বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বড়কুলের জোড়া খুনের ঘটনায় কাউসারকে ৫ দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলিত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ি পাশে (কালা সিতার বাড়ি) দুলাল সাহার বসতঘরের জানালার গ্রীল কেটে দালানঘরে প্রবেশ করে এক দল দুর্বৃত্ত। তারা উত্তম চন্দ্র বর্মণ তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মণকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার খুনের শিকার স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের শিকার তুফান স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা ছিলেন। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্মণের ছেলে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক মোঃ সোহাগ ও সন্দেহভাজন হিসেবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
আটককৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, ওইদিন রাতে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোরচক্র মদপান করে চুরির উদ্দেশ্যে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ করে। ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মণ তুফান ও তার স্ত্রী কাজলী রাণী বর্মণ ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং তাদেরকে চিনে ফেলেন। এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাপা দিয়ে তাদের হত্যা করে এবং ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় চোরচক্র।
এরপর চুরিকৃত মালামাল ওইদিন রাতেই মিজানের ঘরে রাখা হয়। পরে মিজান একটি কাসা/পিতলের মগ রেখে অন্য মালামাল একজন ভ্রাম্যমাণ হকারের কাছে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে দেন।
পরে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানকে নিয়ে পুলিশ চুরিকৃত জিনিসপত্র উদ্ধার করে।