প্রকাশ : ২৬ মে ২০২২, ০০:০০
দুর্যোগে জরুরি সাড়াদান পদ্ধতি শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি-২০১৯ অবহিতকরণ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ মে) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল হক। তিনি বলেন, আমরা আমফানের সময় ৩০ লাখ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা দিতে পেরেছি। আমাদের সকল কর্মসূচি জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে করতে হয়। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করি। দুর্যোগ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যন্ত আমাদের রয়েছে ৯ লাখ ৭৭ হাজার কমিটির সদস্য। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা।
তিনি আরো বলেন, কালবৈশাখীর সময় কিন্তু সময় পাওয়া যায় না। যে কোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু বন্যার বিষয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বন্যা হলে বাংলাদেশের বন্যা হয়। কারণ সেখানের বন্যার পানি বাংলাদেশ হয়ে মহাসাগরে যায়। তিনি আরো বলেন, গত বছর বজ্রপাতে সারাদেশে ৩শ’ ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ক’দিন আগে চাঁদপুরে দুজন বজ্রপাতে মারা গেছেন।
২০১৬ সালে বজ্রপাতকে ‘জাতীয় দুর্যোগ’ ঘোষণা করে বজ্রপাতে মৃত্যু ঠেকাতে ‘তালগাছ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। বজ্রপাত ঠেকাতে তালগাছ রোপণ করেছিলাম ৩০ লাখ। কিন্তু এখন তার অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এই প্রকল্প ফলপ্রসূ হয়নি। তার কারণ হলো পরিচর্যার অভাব ছিলো। বজ্রপাতের মোকাবেলায় তালগাছ রোপণে জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা থাকলে আমরা সফল হবো।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপ্রধানে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তাগণ। আয়োজনে ছিলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।